বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন
Notice :
পরীক্ষামূলক আয়োজন চলছে। শীঘ্রই আসছি পূর্ণাঙ্গরূপে।

অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪৩ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

সরকার পতনের একদফা দাবিতে ভোট বর্জনের আহ্বানের পাশাপাশি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো। দেশবাসীকে সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স, ইউটিলিটি বিল প্রদান  স্থগিত ও মামলার হাজিরা না দিয়ে সরকারকে অসহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন ।

অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরি করতে ২১, ২২ ও ২৩শে ডিসেম্বর তিনদিন লিফলেট বিতরণ ও একদফার দাবিতে ২৪শে ডিসেম্বর সকাল-সন্ধ্যা সারা দেশে সর্বাত্মক অবরোধ কমসূচিও ডেকেছে বিএনপি। একই কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত, এলডিপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা শরিক দলগুলো।

গতকাল দুপুরে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ভিডিও বক্তব্য দেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পরে ভার্চ্যুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আজ থেকে অবৈধ সরকারকে সব ধরনের অসহযোগিতা শুরু করার বিকল্প নেই। জনগণের ভোটে একটি অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক সাংবিধানিক তথা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বর্তমান অবৈধ সরকারকে আর কোনো রকমের সহযোগিতা না করার জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানাই। আপনারা আগামী ৭ই জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচন’ বর্জন করুন। ‘নির্বাচনের নামে’ ৭ই জানুয়ারির ‘বানর খেলার আসরে অংশ নেবেন না।

  রিজভী আরো বলেন,আপনারা কেউ ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। নির্বাচন কমিশন ৭ই জানুয়ারি কাকে এমপি ঘোষণা করবে গণভবনে সেই তালিকা তৈরি হয়ে গেছে। সুতরাং, ৭ই জানুয়ারির ‘ডামি নির্বাচনে’ ভোটগ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। বর্তমান অবৈধ সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল এবং অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন।  মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় অভিযুক্ত লাখ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মী আজ থেকে আদালতে মামলায় হাজিরা দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনাদের প্রতি সুবিচার করার আদালতের স্বাধীনতা ফ্যাসিবাদী সরকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের আন্দোলনের ফলে দেশে সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হলে এসব অসহযোগিতায় ক্ষতিগ্রস্তরা যথাযথ ক্ষতিপূরণ এবং সুবিচার পাবেন। স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আমাদের অনেক সাথী জীবন দিয়েছেন, গুম হয়েছেন, বন্দি ও আহত হয়েছেন। কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াই চলছে ও চলবে। জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও লড়াইয়ের বিজয় অবশ্যম্ভাবী ও অনিবার্য।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর