অতিরিক্ত শাসন শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশে সাহায্য করেনা বরং বাঁধা দেয়

এক সময় শিক্ষার্থীদের বশেআনার একমাত্র কৌশল ছিল অতিরিক্ত শাসন। বর্তমানে অতিরিক্ত শাসন বা শাস্তির বিধান নেই। তারপরও খবরের কাগজে মাঝে মাঝে দেখতে পাই শিক্ষার্থীদের উপর শাসন এর নামে চলছে শিশু নির্যাতন। যা কোনভাবেই শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশে সাহায্য করেনা বরং বাঁধা দেয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, শিক্ষার্থীকে যখনই অতিরিক্ত শাসন করা হয়, তখন তার মানসিক বিকাশ বাঁধাগ্রস্থ হয়। সে মানসিক ভাবে বড়ধরনের ক্ষতির শিকার হয়।এমনকি লেখা পড়া বন্ধও হয়ে যেতে পারে।
শিক্ষার্থীর অন্যায় আচরণের জন্য অথবা লেখা পড়ার প্রতি মনোযোগ না থাকার জন্য শাসন করা যেতেই পারে। তবে তা হওয়া উচিতি শক্ষণীয় এবং সংশোধন মূলক। তবে সেই শাসন কোনভাবেই শাস্তিমূলক হওয়া উচিত নয়। আর যখন এটা মাত্রাতিরিক্ত হবে তখন এটা হতে পারে শিক্ষার্থীর মানসিক বিকাশের অন্যতম একটা বাঁধা। এছাড়া, এই অতিরিক্ত শাসন বা শাস্তির কারণে সে হীনমন্যতায় ভোগে। আর এই হীনমন্যতা থেকেই শুরু হয় তার পিছিয়ে পড়া।শুধু তাই নয়, অনেক শিক্ষার্থীরা আবার অতিরিক্ত শাসনের কারণে ভীতু হয়ে যায়। যিনি অতিরিক্ত শাসন করছেন, তার উপর শিক্ষার্থীদের একটি বিরূপ ধারণা চলে আসে।
অতিরিক্ত শাসন বা শাস্তির কারণে অনেক শিশুরা জিদ করে একরোখা হয়ে ওঠে। সিদ্ধাš Íনিতে ভয় পায়। কখনো কখনো মতামত প্রকাশ করতে ভয় পায়। আবার কখনো কখনো মনে করে, কাউকে বশে আনার জন্য শাস্তিই একমাত্র পন্থা, ফলে সেও পরবর্তীতে সহিংস হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে বড় হয়ে সে ঐ কাজের পুনরাবৃত্তি ঘটান।
সুতরাং শারীরিক অথবা মানসিক শা¯ি Íনয়, পরম মমতা দিয়ে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটানো উচিত।
লেখক: সিনিয়র শিক্ষক
বাড্ডা গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।